রিয়াদ হাসান: [৩] সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে গণমিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিন বিএনপি। উত্তরের গণমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সমাপনি বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। 

[৪] গণমিছিল শুরুর আগে বক্তব্যে তিনি বলেন, এই সরকার অবৈধ সরকার। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, আমাদের পার্লামেন্টকে ধ্বংস করেছে, আমাদের প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে। তারা আমাদের বিচার বিভাগকেও ধ্বংস করেছে।

[৫] নতুন দুটি রাজনৈতিকদলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ এ দুই দলকে চেনে না। এদের দিয়ে সরকার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা খেলতে চায়। এবার এ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

[৬] বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, এবারের লড়াই জীবনপণ লড়াই। এবারের আন্দোলনে সরকারের পতন করা হবে। মানে মানে সরে না গেলে রাজপথেই সরকার পতন ঘটানো হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগই একমাত্র দাবি বিএনপির। এ দাবির আওয়াজ গণভবন, বঙ্গভবনে পৌঁছাতে হবে।

[৭] ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। তারা সরাসরি গুলি করছে। 

[৮] নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ কমিশন নিশিরাতের ভোটের সরকারের মনোনীত কমিশন। আমরা হুঁশিয়ার করতে চাই, এ সরকারের আদেশ মেনে যে কাজ করছেন অন্যায় করছেন। 

[৯] বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ ফ্যাসিবাদীদের (সরকার) যতদিন ক্ষমতায় রাখা হবে, দেশের ততই ক্ষতি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এদের বিদায় করতে হবে। এখন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে সরকার পতনের করার চেষ্টা করছি। তবে, কেউ অশান্তি করলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেবো।

[১০] রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে বর্তমান ভোট চোর অবৈধ নিশিরাতের সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমাদের দফা এক, দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।

[১১] সমাবেশ শেষে এক দফার চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকার দুই মহানগর থেকে একযোগে গণমিছিল বের করে বিএনপি। দক্ষিণের গণমিছিলটি মুগদার কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয় এবং উত্তরের গণমিছিলটি উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগে আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

[১২] ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

[১৩] একই দিন এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঢাকায় পৃথক মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান